Sylhet Engineering College
🕍 সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিচিতিঃ 🕍
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে"।
সিলেট শহরের অদূরে টিলাগড় ইকোপার্ক রোডে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সবুজের সমারোহ এবং টিলায় ঘেরা ৮ একরের যায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মূল অবকাঠামো।এখানে রয়েছে
১) একটি প্রশাসনিক ভবন( ৪ তলা বিশিষ্ট)
২) একটি লাইব্রেরী ভবন ( ৩ তলা বিশিষ্ট)
৩) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন ( ৪ তলা বিশিষ্ট)
৪) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন ( ৪ তলা বিশিষ্ট)
৫) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন ( ৪ তলা বিশিষ্ট)
৬) প্রিন্সিপাল বাসভবন
৭) শিক্ষক/ কর্মচারী বাসভবন।
সবুজঘেরা ক্যাম্পাসের পাশেই রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ এবং তার পাশেই রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র " সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র" (টিলাগড় ইকোপার্ক)। ক্যাম্পাসের অদুরেই রয়েছে নান্দনিক "চা বাগান"।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে আবাসিক ৩টা হল। এরমধ্যে ছেলেদের জন্য রয়েছে ২টি হলঃ
১) বঙ্গবন্ধু হল (৫তলা বিশিষ্ট)
২) মুক্তিযোদ্ধা হল (৫তলা বিশিষ্ট)
এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে ১টি হলঃ
১) ফজিলাতুন্নিসা মুজিব হল (৫তলা বিশিষ্ট)
বিঃদ্রঃ- বিগত বছর গুলোতে হলে আবাসন সংকট থাকলেও বর্তমানে কোন আবাসন সংকট নেই। শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই শতভাগ আবাসন সুবিধা পাবে।
বিঃদ্রঃ- হলের সিট বরাদ্দ নিতে এককালীন জামানত+ দুই সেমিস্টারের আবাসন ফি বাবদ ৪৩০০ টাকা দিতে হয়। আর প্রতি সেমিস্টারে আবাসন ফি বাবদ শিক্ষার্থীকে ১২৮০ টাকা দিতে হয়। মানে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে পরে।
জামানতের টাকা ফেরতযোগ্য অর্থাৎ আপনি পাশ করে বের হয়ে গেলে তখন আপনাকে জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
👉বিভাগ ও আসন সংখ্যা :-
অত্র প্রতিষ্ঠানে মোট তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে। তিনটি বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ১৮০+৬( সাধারন+ মুক্তিযোদ্ধা +উপজাতি ) টি। এরমধ্যে
১) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-৬০
২) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-৬০
৩) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-৬০
প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে মানসম্মত আধুনিক ক্লাস রুম এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক ল্যাব।
👉ভর্তি পরিক্ষার প্রক্রিয়াঃ-
ভর্তি পরিক্ষার পুরো প্রক্রিয়া সাস্ট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারাই প্রশ্ন তৈরি করে এবং সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এসে পরিক্ষা তারাই নেয় এবং পরিক্ষার খাতাও তারাই দেখে।
পরিক্ষার ধরনঃ
১) ১০০ নাম্বারের লিখিত পরিক্ষা হবে প্রতি প্রশ্নের মান ১।
ক)ফিজিক্স-৩০
খ)গনিত-৩০
গ)ক্যামিস্ট্রি-২০
ঘ) ইংরেজি-২০(অপশন থাকবে)
১)প্রশ্ন পত্রেই উত্তর লিখতে হয়( প্রতিটা প্রশ্নের নিচে নির্দিষ্ট পরিমান যায়গা দেয়া হয় ঐ প্রশ্নের উত্তর লিখার জন্য) তাই পরিক্ষা শেষে প্রশ্ন পত্র জমা নেয়া হয়। তাই বিগত সালের প্রশ্ন পাওয়া যায় না।গ্রুপের এর ফাইল ফোল্ডারে কিছু নমুনা প্রশ্ন দেয়া আছে, মানে প্রশ্নের ধরন কেমন হয় সেরকম কিছু প্রশ্ন তৈরি করে দেয়া আছে । ওই গুলা দেখলে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্ন কেমন হয় সেই সম্পর্কে ধারনা পাবেন আশা করি ।
২)১০০নাম্বারের ভর্তি পরিক্ষার প্রাপ্ত নম্বর কে ৭০তে কনভার্ট করা হবে, তারপর প্রাপ্ত রেজাল্ট কে পরিক্ষার্থীর জিপিএ-৩০ এর সাথে যোগ করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। পরিক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর+জিপিএ মিলে যদি পরিক্ষার্থীর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৫৫+ বা তার বেশি হয় তাহলে মেরিট পজিশনে নাম আসার প্রবল সম্ভাবনা আছে।
👉পাঠদানঃ
অত্র প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, যারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন। এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠানটি সাস্টের অধিভুক্ত হওয়ায় এবং সাস্ট থেকে দুরুত্ব কম হওয়ায় সাস্টের অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী অত্র প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কোর্সের পাঠদান করে আসছেন।
সাস্টের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী অত্র প্রতিষ্ঠানে রেগুলার বিভিন্ন কোর্সের ক্লাস নিয়ে থাকেন বলে অত্র প্রতিষ্ঠানটির সাথে তাদের রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। যারফলে ফাইনাল সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সাস্টের অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর তত্বাবধানে/অধীনে থিসিস/প্রোজেক্ট সম্পন্ন করে আসছে এবং অদুর ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
👉একাডেমিক খরচঃ
সাস্টের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী অত্র প্রতিষ্ঠানে রেগুলার বিভিন্ন কোর্সের ক্লাস নিয়ে থাকেন বলে তাদের একটা নুন্যতম সম্মানি অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হয় এবং এটা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া। তাই একাডেমিক খরচ সামান্য বেশি হয়।
১) চার বছরে মোট ৮ সেমিস্টার। অর্থাৎ বছরে দুই সেমিস্টার(৬ মাস মেয়াদী)।
২) প্রতি সেমিস্টারে একাডেমিক খরচ ৮৫০০ টাকা(সেমিস্টার+পরিক্ষার ফি সহ)।
মোট ৮ সেমিস্টারে ৮*৮৫০০=৬৮০০০(৭০০০০) হাজার টাকা প্রায়।
৩) অত্র কলেজটি যেহেতু শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তাই প্রতি সেমিস্টারে রেজিঃ ফি +পরিক্ষার ফি বাবদ কিছু টাকা তাদের দিতে হয়। এই জন্য অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এখানে খরচ টা একটু বেশি।
👉সাফল্যের পরিধিঃ
অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে অনেকেই দেশের সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর, নামি-দামি সরকারি/বেসরকারি ব্যাংক,সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুনামের সাথে জব করছেন।এখান থেকে পাশ করে এক বড় ভাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে জব করছেন,এবং উনি ই ৪৩ তম বিসিএসে এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।এছাড়াও সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদেও যোগদান করেছেন একজন। অনেকে বিদেশি নামীদামী কোম্পানির জব নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে সেখানে থিতু হয়েছেন। অনেকে দেশে বসেই বিদেশি নামীদামী কোম্পানির জব করছেন এবং অদুর ভবিষ্যতে তারাও প্রাক্তনদের পথে হাটবেন মানে চাকরি পারপাসে বিদেশে পাড়ি জমাবেন।
👉উচ্চশিক্ষাঃ
অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে অনেকেই দেশের নাম করা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট, চুয়েট,ঢাবি,ডুয়েট,সাস্ট) থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন করছেন এছাড়াও অনেকে আমেরিকা/কানাডা সহ ইউরোপের নামি-দামি সব দেশে স্কলারশিপ সহ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে প্রাক্তন এক বড় ভাই আমেরিকার একটা ইউনিভার্সিটির টিচার হিসাবেও যোগদান করেছেন। আবার আরেক বড় ভাই ইউরোপের বেস্ট স্কলারশিপ "ইরাসমাসমুন্ড" পেয়ে ইউরোপের নামি-দামি ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন।
এছাড়াও যেহেতু অত্র প্রতিষ্ঠানটি সাস্টের অধীনে তাই আপনি সাস্টে নামমাত্র ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে অনায়াসে সেখানে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ- কারও কোন কিছু জিজ্ঞাসা বা জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন, দয়া করে কেউ ইনবক্স করবেন না।
লিখাঃ
Samir Adnan
সিএসই ৯ম ব্যাচ(প্রাক্তন ছাত্র)
সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
#Sylhet_Engineering_College #সিলেট_ইঞ্জিনিয়ারিং_কলেজ
Comments
Post a Comment